রোহিঙ্গা সময়বোমা: গোকুলে বাড়িছে সে

হেলাল মহিউদ্দীন •

দুনিয়াজুড়ে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন চিত্র আশাপ্রদ নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত শরণার্থীদের সর্বোচ্চ ২৩ শতাংশ নিজ দেশে ফেরত গেছে। বর্তমান সময়ে এ হার প্রতিদিনই নামছে।

২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগের বছর বিশ্বে মাত্র ২ শতাংশ শরণার্থীর প্রত্যাবাসন হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সেই বিচারে অনেক জটিল। আশা করার কোনো কারণ নেই, রাতারাতি অলৌকিক ঘটনা ঘটবে এবং রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। সত্য মেনে নেওয়া কঠিন। রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশেও রাখা সম্ভব নয়। সরকারি-বেসরকারি, স্থানীয়-অস্থানীয় সবার একই কথা– তাদের চলে যেতে হবে। আমরা সাময়িক আশ্রয় দিয়েছি মানবিক কারণে।

কিন্তু ছয় বছর পার হলেও প্রত্যাবাসনের কূলকিনারা করতে না পারায় আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। রোহিঙ্গাদের একটি ‘টাইম বোমা’ হিসেবে উল্লেখ করা লেখালেখির সংখ্যাও অনেক। আশঙ্কা, এই বোমা বিস্ফোরিত হলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বা জীবনযাত্রা শুধু নয়; অস্তিত্বও বিপন্ন হতে পারে।

সমস্যার কেঁচোটি দ্রুত আজদাহা হয়ে উঠছে বাংলাদেশের ভেতরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক খেলুড়েদের ভূ-আঞ্চলিক রাজনৈতিক কারণে। বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থাকে অর্থনীতি ছাড়াও রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকতে হলে এশিয়ায় রাশিয়া, চীন ও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হচ্ছে। তিনটি দেশই মিয়ানমারে তাদের বড়সড় আকারের অর্থনৈতিক স্বার্থ লগ্নি করে রেখেছে। বাংলাদেশ তাদের প্রতি আন্তরিক বন্ধুত্ব দেখালেও তারা মিয়ানমারের বিপক্ষে দাঁড়ায় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের পক্ষই নেয়। মিয়ানমারের বিদেশ-অর্থনীতির চালকের আসনে বসে আছে চীন। ভারত কালাদান নদীতে কালাদান জলবিদ্যুৎ ও বাঁধ প্রকল্পের কাণ্ডারি। তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা দেশের তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া ও লাওস। জাপানেরও বিশাল লগ্নি রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ও ভারী যন্ত্রাংশ রপ্তানি খাতে।

দেশ-বিদেশে রোহিঙ্গাদের সচেতন অংশের বেশির ভাগই মনে করে, রোহিঙ্গা উৎখাত চীনের মদদেই হয়েছে। চীন রাখাইন প্রদেশকে বিশেষ অর্থনৈতিক (এসইজেড-স্পেশাল ইকোনমিক জোন) এলাকায় পরিণত করছে। সে জন্য চীনের অঞ্চলটি দরকার। চীনের সহায়তায় রেলপথ, সড়কপথ, গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ লাইন, টেলিফোন নেটওয়ার্ক ইত্যাদি এখন দৃশ্যমান। সুতরাং এখানেও হতাশার ছবি। লোক দেখানো নানা রকম প্রত্যাবাসনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও সেগুলো কতটা আন্তরিকতাপূর্ণ হবে, সে সন্দেহ থেকেই যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন সর্বশক্তিতে চীনকে ঠেকানো, যাতে দেশটি ভারত উপমহাদেশে একচ্ছত্র ক্ষমতাধর অর্থনৈতিক ও সামরিক পরাশক্তি হয়ে উঠতে না পারে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উভয়ের গণতন্ত্রহীনতাজনিত দুর্বলতাই সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের তুরুপের তাস।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের দুরবস্থাই দেশ দুটিকে চীনা বলয়ের অংশ করে তুলবে– এ রকম বিবেচনা থেকেও যুক্তরাষ্ট্র বার্মা অ্যাক্টের মাধ্যমে মিয়ানমারকে চাপে রাখা এবং বাংলাদেশকে গণতন্ত্রায়নে বাধ্য করার কৌশল নিয়েছে মনে হতে পারে।

এই ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের খেলায় নিজ প্রভাব খর্ব হতে না দেওয়ার প্রয়োজনে হলেও চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। বিষয়টি মন্দের ভালো দেখালেও কার্যত সমস্যা তিমিরেই থাকছে।

এ বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেছিলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিন গ্যাং। তার পরপরই চীন পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তাব জানায়। উদ্দেশ্য– রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এপ্রিল মাসের শুরুতে অনেকটা সন্তর্পণে বাংলাদেশ ঘুরে যান চীনের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত দেং শিজুন। উদ্দেশ্য– রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা। ছোট সংখ্যার একগুচ্ছ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনের পরীক্ষামূলক প্রকল্পের প্রস্তাব আবারও আলোচনায় তোলা হয়। এ রকম আলোচনা একেবারে নতুন কিছু নয়। আগেও চেষ্টা করা হয়েছিল। ফলাফল শূন্য।

এ বছরের মে মাসে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে পরীক্ষামূলক প্রকল্পে সহায়তা দেওয়ার জন্য সব রাষ্ট্রকে অনুরোধ করে বসে। এ বিষয় খানিকটা হকচকিত হওয়ার মতো ছিল। কারণ পাইলট প্রকল্পের প্রস্তাবটি চীনের; বাংলাদেশের নয়। সে ক্ষেত্রে সমর্থনের অনুরোধটি মিয়ানমার বা চীনের পক্ষ থেকে আসার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আসায় মনে হয়েছিল, বাংলাদেশ নিশ্চিত হয়ে গেছে– পাইলট প্রকল্প সফল হবে। অথচ বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। ২০১৮ সাল থেকেই এ রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে এসেছে। সে বছর বাংলাদেশ হুট করে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় প্রত্যাবাসন চুক্তি করে বসে। চুক্তিতে পারিপার্শ্বিক অনেক বাস্তবতা আমলে নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ মিয়ানমারের প্রস্তাবিত ফাঁদে বাংলাদেশ হুটহাট ধরা দিয়ে বসে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নানা রকম টালবাহানা, অজুহাত, সময়ক্ষেপণ ইত্যাদির পর একটি মাত্র পরিবারকে মিয়ানমারে পাঠানো গেছে। পরে অনেক সংবাদমাধ্যমেই খবর হয়েছে, পুনর্বাসিত পরিবারটি আসলে মিয়ানমারের জান্তার হয়ে বাংলাদেশে গুপ্তচরবৃত্তিতে নিয়োজিত ছিল।

যাই হোক, সব দেশের প্রতি বাংলাদেশকে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করার অনুরোধটির কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হলো। আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার উদ্যোগে এবং কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সহায়তায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলাটির গুরুত্ব অনেকটাই ফিকে হয়ে এলো। দুনিয়াময় সব দেশের প্রতিনিধিরই ধারণা হওয়া স্বাভাবিক– বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের খুবই ‘কার্যকর’ ও ইতিবাচক আলোচনা চলছে। যেন মিয়ানমারের প্রশংসনীয় সদিচ্ছা তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার শর্ত অনেকটা এ রকম– ক্ষতিকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে মিল-মহব্বত-সমঝোতা-সদিচ্ছার সুবাতাস বইতে শুরু করলে সময় দিতে হবে। তদন্ত এবং শুনানিও সে ক্ষেত্রে মুলতবি রাখা প্রয়োজন।

সহজ যুক্তিটি এ রকম– হতেও তো পারে, তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আসলেই সমস্যার সমাধান করে ফেলবে। সদস্য দেশগুলোর কাছে পাইলটিং সমর্থনের অনুরোধে তাই বিস্ময় বেড়েছে। অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছেন। মিয়ানমার ও চীনের আন্তরিকতায় ঘাটতি থাকলেও এখন তারা দাবি করতেই পারে, তাদের আন্তরিকতা ও চেষ্টার কোনো কমতি নেই। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার কিন্তু বাংলাদেশকেই দায়ী করে আসছিল, বাংলাদেশের আন্তরিকতার ঘাটতির কারণেই প্রত্যাবাসন আটকে আছে।

মিয়ানমারের ওপর চাপ ছিল ২৪ এপ্রিলের মধ্যে আইসিজের কাছে গাম্বিয়ার করা আর্জির জবাব দেওয়ার। কিন্তু মিয়ানমার আইসিজেতে দুই দফা আবেদন করে এ বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত জবাবদিহির সময় বাড়িয়ে নেয়। মাঝে পাইলট প্রকল্পের অধীনে ঢাকঢোল পিটিয়ে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের রাখাইন নিয়ে যাওয়া হয়। তারা আশায় বুক বেঁধে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছে। তারা জানাল, নিজেদের ভিটেমাটি ও নাগরিক অধিকার ছাড়া তারা ফিরবে না। জ্বলন্ত আগুন থেকে ফুটন্ত কড়াইয়ে কেন পড়বে তারা?

মে মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের দুই সপ্তাহ পর আমন্ত্রিত হয়ে কুনমিং যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। উদ্দেশ্য একই– চীনের মধ্যস্থতায় প্রত্যাবাসন আলোচনা। এ মুহূর্তে দেশের সব মানুষেরই জানা– চীনের মধ্যস্থতাই শুধু নয়, সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়া বা আন্তরিক সিদ্ধান্ত দেওয়া ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে না। এটি যতটা না মিয়ানমারের ইচ্ছার বিষয়, তার চেয়ে বেশি চীনের ইচ্ছার বিষয়। যাই হোক, ২৭ মে তৃতীয় দফায় দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন আলোচনা হলো। চীনের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে অগ্রাধিকার দেবেন বলে আশ্বাস দিলেন। আমরাও আশায় বুক বাঁধলাম। কিন্তু মিয়ানমারের পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রকাশ্য বা স্পষ্টও নয়। এদিকে পশ্চিমাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন বাড়ছেই।

আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়। কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করল ১১ সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল। তারা শুনল বেশি, বলল কম। জানতে চাইল রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন, খাদ্য-চিকিৎসা ইত্যাদি মানবিক বিষয়ে। কারণ সহজ। এখনও রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তায় জাতিসংঘের মাধ্যমে দান-অনুদান-চাঁদায় মার্কিনিরাই শীর্ষে। আপাতদৃষ্টে এটি রুটিন পরিদর্শন। কিন্তু তাদের পরিদর্শন প্রতিবেদন গোপনই রয়েছে। এখনও আমাদের জানানো হয়নি। কোনো সংবাদ সম্মেলন হয়নি। তবে তাদের প্রশ্নে মানবাধিকার প্রসঙ্গ জোরদার ছিল।

মার্কিন দলের পরিদর্শনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইয়ামেন গিলমোরও সফর করলেন। তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দলটি মানবাধিকার বিষয়ে খোঁজখবর নিলেও তাদের প্রতিবেদন বা ভাষ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তাদের সফরের ঠিক দুই সপ্তাহ আগে একই ক্যাম্প বালুখালী সফর করে গেলেন উজরা জেয়া। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি। তাঁর পরিদর্শনের বিষয়ও মানবাধিকার। তাঁর দেখা-অদেখা নিয়ে কোনো প্রতিবেদন এখনও অপ্রকাশিত।

সামনে বাংলাদেশের নির্বাচন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে বাংলাদেশে একটি সত্যিকারের গ্রহণযোগ্য ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ সংক্রান্ত মার্কিন অবস্থান যখন নানাভাবে জোরদার, তখন হঠাৎ ১১ জনের বহর নিয়ে ক্যাম্প পরিদর্শনকে শুধুই রুটিন পরিদর্শন বলে মানতে নারাজ অনেকেই। বার্মা অ্যাক্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ওপরেও চাপ বাড়ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনো সূচকে কোনো অগ্রগতিই টের পাওয়া যাচ্ছে না। এ রকম অবস্থায় প্রত্যাবাসন বিষয়ে আবারও হতাশা বাড়ছে। তবে ঘরপোড়া গরু যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়, আমাদেরও ভয় বাড়ছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির সুবিধা নিজেদের দিকে নিতে রোহিঙ্গা সমস্যাকে যার যার মতো ব্যবহার করার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

শুরুর কথায় ফিরি। পৃথিবীতে কোনো শরণার্থী প্রত্যাবাসনই যেহেতু এক-চতুর্থাংশের বেশি হয় না, সেহেতু অন্তত এক-চতুর্থাংশ রোহিঙ্গাকে ফেরানোর চেষ্টায় বাংলাদেশের সর্বশক্তি নিয়োগ করা দরকার। যারা স্বদেশে ছাড়া অন্য কোথাও যেতে রাজি নয়, তাদের নিয়েই প্রথম তালিকাটি হতে পারে। বাকিদের পৃথিবীর অভিবাসনপন্থি দেশগুলোর মাঝে বিলি-বণ্টনে জোর কূটনীতি প্রয়োজন। সে জন্যও দরকার আগ্রহী দেশগুলোর আস্থা অর্জন। সেই আস্থা অর্জনের জন্যও আগ্রহী দেশগুলো বাংলাদেশে কার্যকর গণতন্ত্রই দেখতে চাইবে। বাংলাদেশের চাওয়া এবং বিশ্বের প্রভাবশালী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর চাওয়াকে একই সুতোয় বেঁধে ফেলা গেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অগ্রগতি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

  • হেলাল মহিউদ্দীন:
  • অধ্যাপক, সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ, পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সোশিওলজি;
  • নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়